চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

বিশ্ব মহাসাগর দিবস


বিশ্ব মহাসাগর দিবস

 ✳ প্রতনু রক্ষিত

 ➡ পৃথিবীর তিনভাগ জল ও একভাগ স্থল। যেহেতু আমরা স্থলে বসবাস করি, তাই জলের দিকটার ভালো মন্দ বহুকাল অবহেলিত ছিল। কিন্তু কথায় আছে নেসেসিটি ইস দ্যি মাদার অব ইনভেনশন। তাই দেরিতে হলেও মানুষ প্রয়োজন বুঝেছে, নিজেদের চোখ খুলেছে এবং মহাসাগরকে রক্ষা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
আজ ৮ ই জুন, বিশ্ব মহাসাগর দিবস (World Oceans Day)। প্রতি বছর এই দিনটি পৃথিবীর মহাসাগরগুলির দূষণ প্রতিরোধ, সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণ, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ প্রভৃতি বিষয়ে নানা উদ্যোগ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়।
আসুন এই দিনটির ইতিহাস এক নজরে দেখে নিই। ১৯৮৭ সালে ব্রুটল্যান্ড কমিশন বা World  Commission on Environment and Development ( WCED) অন্যান্য দিকের মতো সর্বপ্রথম সমুদ্রের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে। এরপর ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো শহরে অনুষ্ঠিত বসুন্ধরা সম্মেলনে ( Earth Summit) বিশ্ব মহাসাগর দিবস পালনের কথা উঠে আসে এবং একই সঙ্গে বিষয়টিকে গুরুত্বের কেন্দ্র বিন্দুতে আনার কথাও আলোচনা হয়।  দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, International Centre for Ocean Development (ICOD) ও Ocean Institute of Canada (OIC) বিশ্ব মহাসাগর দিবস পালনের প্রস্তাব প্রদান করে। সেই সময় এই দিনটির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পৃথিবীর মহাসাগর উন্নয়ন বিষয়টিকে আন্তঃরাষ্ট্রীয় ও NGO এর আলোচনা ক্ষেত্রে একটি প্রধান বিষয়রূপে তুলে ধরা।

এরপর ২০০৪ সালে The Ocean Project and World Ocean Network দু'য়ে মিলে এই দিনটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য United Nations এর কাছে চার বছরের একটি পিটিশন জমা করে। অবশেষে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রসংঘ 'বিশ্ব মহাসাগর দিবস'-কে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয় এবং ২০০৯ সাল থেকে ৮ ই জুন দিনটি রাষ্ট্রসংঘ স্বীকৃত বিশ্ব মহাসাগর দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
এবছর ( ২০২০ ) বিশ্ব মহাসাগর দিবসের থিম হল -- 'Innovation for a Sustainable Ocean'। বিগত কয়েক বছরের থিমগুলো ছিল যথাক্রমে- "Gender and Oceans" (২০১৯), "Clean our Ocean!" (২০১৮), "Our Oceans, Our Future" (২০১৭) ইত্যাদি।
আসুন আজকের এই দিনে মহাসাগরকে নির্মল করি ও সুস্থায়ী উন্নয়নে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই।