চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

পাঠ্য বই বিতর্কে সাসপেন্ড বর্ধমানের নামি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও প্রাথমিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা


পাঠ্য বই বিতর্কে সাসপেন্ড বর্ধমানের নামি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও প্রাথমিক বিভাগের
ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা 

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীর  ইংরেজি পাঠ্য বই বিতর্কে সাসপেন্ড করা হয়েছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও প্রাথমিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা - কে। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলের ঘটনা। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নাম উল্লেখ করে ওই দুই শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষনা করেছেন। লকডাউন পরিস্থিতিতে এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেছেন বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী মল্লিক ও প্রাথমিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা বর্ণালী ঘোষ-কে সাসপেন্ড করার বিষয়টি।

জানাগেছে, বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীর ইংরেজি সহায়ক বইয়ে ইউ (U) অক্ষর সম্পর্কে পড়ুয়াদের পরিচিত করাতে আগলি শব্দ লেখা হয়েছে। ওই ইংরেজি শব্দের বাংলা অর্থ  কুৎসিত  বোঝাতে গিয়ে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ছবি দেওয়া হয়েছে। আর এই  নিয়েই তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য জুড়ে। বর্ধমানে মেয়েদের নামি স্কুল বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলের প্রাক-প্রাথমিক বিভাগে ওই পাঠ্য বই পড়ানো হচ্ছে। অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগের ভিত্তিতেই জেলা থেকে রাজ্য পর্যন্ত সোরগোল পড়ে যায়।

 বর্ধমান শহরের রামকৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজের অধ্যাপক সুদীপ মজুমদারের মেয়ে ওই স্কুলের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীর ছাত্রী। সুদীপবাবু বলেন, 'মেয়েকে পড়াতে গিয়ে বিষয়টি তার নজরে আসে।' সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি পূর্ব বর্ধমান জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) স্বপন কুমার দত্তকে জানান। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক স্কুলের সঙ্গে কথা বলে বইটি বাতিল করা হবে বলে তাঁকে জানিয়েছেন। এদিকে এই ঘটনার বিষয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি তীব্র নিন্দা করেন। এবং এদিনই ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবনী মল্লিক এবং প্রাক প্রাথমিকের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা  বর্ণালী ঘোষ- কে সাসপেন্ড করেছেন। এদিকে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবনী মল্লিক জানিয়েছেন, প্রাক প্রাথমিকের একটি বইয়ে কুরুচিকর ইঙ্গিত রয়েছে জানতে পারার পর দ্রুত ওই বইটিকে বাতিল করা হয়েছে। যদিও তাঁকে বরখাস্ত করার বিষয়ে তিনি এখনও কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে পাঠ্য বই বিতর্কের বিষয়ে প্রাথমিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা বর্ণালী ঘোষ-কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, স্কুলের বই নির্বাচন করেন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। এক্ষেত্রে তার কোনও ভূমিকা থাকে না। আর সাসপেন্ড বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।