চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

জামালপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ২ হাজার অসহায় মুসলমান পরিবারের বাড়িতে ঈদের সামগ্রী প্রদান

অতনু হাজরা, জামালপুর : করোনা সংকট চলছে তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণি ঝড় উম্ফান। এই অবস্থায় গোটা ব্লকের অসহায় মুসলমান সম্প্রদায়ের  মানুষরা যাতে খুশি মনে খুশির ঈদ পালন করতে পারেন সেই জন্য ১৩টি অঞ্চলের ২০০০ মানুষের হাতে নানা সামগ্রী সমন্বিত প্যাকেট তুলে দেবার ব্যবস্থা করেন জামালপুর ব্লকের তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ভুতনাথ মালিক। প্যাকেট গুলিতে রয়েছে সিমুই, আদা, পিঁয়াজ, রসুন, তেল, মশলা, চিনি সহ নানা জিনিস। শুক্রবার মেহেমুদ খানের পার্টি অফিস থেকে প্রত্যেকটি অঞ্চলের জন্য আলাদা আলাদা গাড়িতে সেই অঞ্চলের প্রধান, উপ প্রধান বা নেতৃত্বের হাতে সেই প্যাকেট গুলো তুলে দেন। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের নেতারা সেই সাহায্যের প্যাকেট সেই এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেবেন। আজ এই অনুষ্ঠানে মেহেমুদ খান ও ভুতনাথ মালিক ছাড়াও হাজির ছিলেন সমাজসেবী ডাঃ প্রতাপ রক্ষিত, শেখ মবিন, গৌর সুন্দর মন্ডল, মৃদুল মন্ডল, তাবারক আলী সহ বিভিন্ন ব্লকের নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত মেহেমুদ খান ও ভুতনাথ মালিক জামালপুর ব্লক নাগরিক জনকল্যাণ সোসাইটির পক্ষ থেকে প্রায় ৭০০০ অসহায় মানুষের হাতে ইতিমধ্যেই খাদ্যসামগ্রী তুলে দিয়েছেন। মেহেমুদ খান বলেন ঈদ খুশির উৎসব এই উৎসবে মুসলিম সম্প্রদায়ের অসহায় মানুষরা যাতে খুশির ঈদ খুশিমনে পালন করতে পারেন সেই জন্য এই বাব্যস্থা করেছেন। তিনি ব্লকের সকল মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান ও সকলকে লকডাউন মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেন। ভুতনাথ মালিক বলেন করোনায় যা সংকট চলছিল তার সঙ্গে যোগ হলো দানব আমফান। তাই তাঁরা গোটা ব্লকে সার্ভে করে এই অসহায় মুসলিম মানুষদের তালিকা তৈরি করেন এবং সেই মোতাবেক আজ তাদের হাতে প্যাকেট পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করা হলো। মেহেমুদ খান ও ভুতনাথ মালিক দুজনেই বলেন এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে কাজ করছেন তাঁর অনুপ্রেরণাতেই তাঁরা এই কাজ করে চলেছেন। ভুতনাথ মালিককে প্রশ্ন করা হয় এর প্রভাব কি ভোটে তৃণমূল পাবে? তিনি বলেন তাঁরা ওসব কথা চিন্তা করে এই কাজ করছেন না। তবে অসহায় মানুষদের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেবার ব্যাপারে তিনি বিরোধী কাউকেই দেখতে পাচ্ছেন না বলেই জানান।