চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

২৪ ঘন্টায় পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্ত ২১ জন

ডেস্ক রিপোর্ট : পূর্ব বর্ধমান জেলায় গত চব্বিশ ঘন্টায় ২১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারি ভাবে এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও ইতিপূর্বে এভাবে কখনো করোনা আক্রান্তের তথ্য জানানো হয়নি। জেলা শাসক বিজয় ভারতী সাংবাদিকদের সামনে গত চব্বিশ ঘন্টার পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন। গত ২৪ ঘন্টায় মঙ্গলকোটে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ জন, রায়না ২ ব্লকে ৪ জন, বর্ধমান, কালনা ও কাটোয়া শহরে ১ জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া রায়না ১ ব্লকে ১ জন, মেমারি ২ ব্লকে ২ জন, কালনা ২ ব্লকে ২ জন, কাটোয়া ২ ব্লকে ১ জন, কেতুগ্রাম ১ ব্লকে ১ জন এবং ভাতাড় ব্লকে ১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারি রিপোর্টে জানানো হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলায় এখন পর্যন্ত ৪৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আশার কথা সরকারি রিপোর্টে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর কোনো তথ্য নেই।
এখন পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ১১৯ জন। বাড়ির কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন ২২ হাজার ২৪০ জন। মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও গুজরাট থেকে ফিরে কোয়ারান্টাইনে আছেন ৯৯৯ জন।ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকে এসে কোয়ারান্টাইনে আছেন ৬৭ জন। এখন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইন সেন্টার থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ১৬৯ জন।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা পরীক্ষার জন্য এখন পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ১৯৯ জনের, এর মধ্যে পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৬ হাজার ৮৫০ জনের। পরীক্ষায় করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হয়েছে ৬ হাজার ৮০৩ জনের। আজ পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২৯ টি। সব মিলিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা যে ভালো জায়গায় নেই সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। যত পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরছেন ততই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও জেলার মানুষ জেলায়তো ফিরে আসবেই। মহারাষ্ট্র থেকে এখনও অনেক পরিযায়ী শ্রমিক এরাজ্যে ফিরছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলারও বহু মানুষ আছেন। তাই এরপর। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় সেটা নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। যাই হোক প্রশাসনিক পরামর্শ প্রত্যেকে সাবধানে চলাফেরা করুন। সরকারি নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। গুজবে কান দেবেন না।