ডেস্ক রিপোর্ট : করোনা এবং উম্ফানের প্রভাবে বাংলার একাডেমীক ক্যালেন্ডারেই রদবদল হতে চলেছে। তৃণমূল কংগ্রেস শিক্ষা সেলের তরফে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে দেওয়া চিঠির প্রেক্ষিতে তেমনটাই হতে চলেছে বলে শিক্ষামহলের ধারনা। আসলে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় তিন দফা লকডাউনের পর রাজ্যে প্রাথমিকস্তর থেকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পঠন-পাঠন চালু করার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস শিক্ষা সেল একগুচ্ছ প্রস্তাব এনেছে। ইতিমধ্যেই ২২মে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির কনভেনার জয়দেব গিরি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে প্রস্তাবের বিস্তারিত জানিয়েছেন। একই সঙ্গে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকেও চিঠি দিয়ে পঠন-পাঠন চালু করার বিষয়ে জানিয়েছেন। চিঠির প্রেক্ষিতে আমাদের প্রতিনিধির প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল কংগ্রেস শিক্ষা সেলের কেন্দ্রীয় কমিটির কনভেনার জয়দেব গিরি বলেন, করোনা আবহে গোটা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন থেকে বঞ্চিত। কিছু স্কুলে অনলাইনে শিক্ষা দেবার প্রক্রিয়া চালু হলেও মাত্র ত্রিশ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী এই সুযোগ গ্রহন করতে পেরেছে। রাজ্যের স্কুল-কলেজগুলোতে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত গ্রীষ্মের ছুটি। ১১ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি খুলছে। তবে খোলার পরেই চার-পাঁচ দিন প্রতিটি স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী এবং পরিচালন সমিতির সদস্যরা উপস্থিত থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্যানিটাইজ করার সঙ্গে নতুন রুটিন ও কি ভাবে পঠন-পাঠন সব কিছু ঠিক করবে। ১৫ জুন থেকে নবম, দশম ও একাদশ শ্রেণীর ক্লাস শুরু হবে। ২৫ জন করে ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ক্লাস হবে এনসিইটি'র পরামর্শ অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে ৩টে অথবা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত বিদ্যালয় চলবে। দুপুরে ১ ঘন্টা টিফিন। এছাড়া শনিবার অর্ধদিবসের পরিবর্তে পুরো স্কুল হবে। দূরবর্তী জায়গা থেকে অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা যাতায়াত করেন তাদের কথা মাথায় রেখে বিকেল সাড়ে তিনটের মধ্যে স্কুল ছুটির কথা বলা হয়েছে। এদিকে ২৯ জুনের মধ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে এবং ১৫ জুলাই এর মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। আর ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর ক্লাস শুরু হবে ১ জুলাই থেকে। এক্ষেত্রেও স্কুল চলার নিয়ম একই। ছাত্র-ছাত্রীরা একদিন অন্তর স্কুলে আসবে। এছাড়া তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ক্লাস শুরু হবে ১৫ জুলাই এর পর। পঞ্চাশ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে একদিন অন্তর ক্লাস হবে। স্কুল শুরু ও ছুটি সবই রুটিন দিয়ে স্কুল জানিয়ে দেবে। আর অন্যান্য ক্লাসগুলি ২৩ জুলাই এর পরে শুরু হবে। এবছরের শিক্ষাবর্ষ ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বর্ধিত হবে। এরই মাঝে প্রাইমারী এবং আপার প্রাইমারীর প্রতিটি ক্লাসে পুজোর ছুটির আগে ৫০ নম্বর ও ডিসেম্বর- জানুয়ারি মাসে পঞ্চাশ নম্বরের পরীক্ষা হবে। তবে প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত এই শিক্ষাবর্ষে একবারই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
২০২১ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ২১ মার্চ থেকে এবং ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা।