চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

অসহায় মানুষদের হাইজিন কিট প্রদান করছে জামালপুর লায়ন্স ক্লাব

অতনু হাজরা, জামালপুর : জামালপুর লায়ন্স ক্লাব বর্তমানে চোখের চিকিৎসায় জেলায় একটি পরিচিত নাম। কিন্তু এই সংস্থাটি শুধুমাত্র চোখের চিকিৎসাতেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেনি। এদের নিজেদের একটি কালচারাল সেকশন আছে। সারা বছর নানা সমাজ সেবা মূলক কাজ তারা করে যায়। কারণ সেবাই তাদের মূল ধর্ম।করোনা মোকাবিলায়  চলছে লকডাউন। এই সময়ও তারা নানা সমাজ সেবা মূলক কাজ করে চলছে সে অসহায় মানুষকে খাদ্য দ্রব্য দেওয়াই হোক বা পোশাক দেওয়াই হোক কিম্বা মানুষের হাতে হাইজিন কিট তুলে দেওয়া হোকনা কেন।
এই করোনা সংকট মোকাবিলায় তারা এক নতুন ধরনের কাজ করছেন। চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায় জানালেন এই মুহূর্তে তাঁরা ২ টি জেলায় ৪টি ব্লকে কাজ করছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় খণ্ডঘোষ ও রায়না ১ নং ব্লক ও হুগলি জেলার খানাকুল ১ ও আরামবাগ ব্লক। তিনি জানান আজকের দিনে অনেক প্রত্যন্ত গ্রামে আছে যেখানকার মানুষরা জানেই না কিভাবে করোনা সংক্রমণ হয় বা ছড়িয়ে পড়ে। তাই তাঁরা  বিভিন্ন ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামগুলো বেছে নিয়ে সেই সমস্ত মানুষদের করোনা সংক্রমণ নিয়ে বোঝাচ্ছেন ও বাংলায় লেখা সচেতনতা বার্তা তাদের দিচ্ছেন সাথে সাথে একটি করে হাইজিন কিটও তারা দিচ্ছেন।


এই হাইজিন কিট দিতে তাঁদের সাহায্য করছেন আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'অপারেশন আই সাইট কানাডা'। তাঁদেরই সাহায্যে জামালপুর লায়ন্স ক্লাব এই চারটি ব্লকে কাজ করছে। এই হাইজিনিক কিট গুলিতে রয়েছে ব্লিচিং ১ কেজি, সাবান ২ টি, মাস্ক ৫ টি, গ্লাভস ১টি ও হ্যান্ডওয়াশ ৭৫০ মিলি। প্রদীপবাবু জানান এখনো পর্যন্ত তাঁরা ১৬৫০ টি পরিবারের হাতে এই কিট তুলে দিতে পেরেছেন। আগামীতে আরো মানুষের কাছে পৌঁছে যাবেন তাঁরা। সেই সঙ্গে জামালপুর লায়ন্স ক্লাব যা লকডাউনের কারণে এতদিন বন্ধ ছিল আগামী ১৮ মে থেকে তাদের আউটডোর শুরু হবে। তবে অনলাইন বা টেলিফোনে নাম লেখাতে হবে। সরকারি নিয়ম নীতি ও সোশ্যাল ডিস্টেন্স মেনেই সব কিছু  করা হবে বলে জানা গেল।