চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

১৫ মে থেকে বর্ধমান শহরে দোকানপাট খুলবে

ডেস্ক রিপোর্ট : ১৫ মে শুত্রুবার থেকে বর্ধমান শহরের দোকানপাট খুলবে। কিন্তু দোকান খুললেও লকডাউনের নিয়ম মেনে একাধিক শর্ত পালন করতে হবে দোকানদারদের। জেলা ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বর্ধমান থানার পুলিশ আধিকারিকদের বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতির উন্নয়ন সম্পাদক বিশ্বেশ্বর চৌধুরী জানিয়েছেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২৫ মার্চ থেকে টানা তিনদফায় লকডাউন চলছে। ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা আছে। এরই মধ্যে সরকার শর্তসাপেক্ষে গ্রীন ও অরেঞ্জ জোনে নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্রের দোকান ছাড়াও বেশ কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। আর এরপরেই ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালানো হয়। বৃহস্পতিবার বর্ধমান সদর থানায় পুলিশ আধিকারিক দের সঙ্গেও বৈঠক হয়। আর সেখানেই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। পুলিশসূত্রে জানাগেছে, দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত শাড়ি, পাঞ্জাবি, জুতো, সোনা-রুপোর দোকান সহ অন্যান্য দ্রব্যের কিছু দোকান খোলার অনুমতি দিলেও শপিং মল, সেলুন ইত্যাদি বন্ধ থাকবে। যদিও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে দোকানের বাইরে থেকে অর্ডার দেওয়া খাদ্যদ্রব্য গ্রাহককে নিয়ে যেতে হবে। ভিতরে বসে খাওয়ানোর কোনো ব্যবস্থা এই মুহূর্তে করা যাবে না। যে সমস্ত দোকান খোলা হবে সেই দোকানের ভিতরে কর্মরত সকলকে এবং দোকানে আসা গ্রাহকদের প্রত্যেকের মুখে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে ব্যবসা করতে হবে। সরকারি নির্দেশাবলী দোকানের বাইরে টাঙিয়ে  রাখতে হবে। ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতির উন্নয়ন  সম্পাদক বলেন, লকডাউনের এই সময়ে ব্যবসায়ীদের চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাই ঈদের আগে প্রশাসনের দোকান খোলার এই সিদ্ধান্তে খুশি ব্যবসায়ী মহল।