চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

চির ঘুমের দেশে তিস্তাপারের সাহিত্যিক দেবেশ রায়

ডেস্ক রিপোর্ট : বিশিষ্ট সাহিত্যিক দেবেশ রায় - এর জীবনাবসান হলো। মৃত্যুকালে  বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা ৫০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাগুইহাটির একটি নার্সিংহোমে। বুধবার রাতে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন এই অশীতিপর সাহিত্যিক। তাঁর জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর। ছোটো থেকে উত্তরবঙ্গে থেকে বেড়ে ওঠার কারনেই হয়তো তাঁর লেখার পটভূমি থেকে চরিত্র হয়ে ফিরে এসেছে উত্তরবঙ্গ। বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী এই মানুষটির উত্তরবঙ্গের প্রতিটি কোণ ছিল তাঁর নখদর্পণে। পরবর্তীকালে কলকাতায় শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গেও তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
একেবারে ভিন্ন ঘরানার এই ঔপন্যাসিকের প্রথম উপন্যাস ‘যযাতি’। তাঁর সাহিত্যসৃষ্টির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘উদ্বাস্তু’, ‘নিরস্ত্রীকরণ কেন’, ‘কলকাতা ও গোপাল’, ‘সময় অসময়ের বৃত্তান্ত’, ‘শরীরে সর্বস্বতা’, ‘বরিশালের যোগেন মণ্ডল’, ‘তিস্তাপুরাণ’ এবং ‘তিস্তাপারের বৃত্তান্ত’।
১৯৯০ সালে তিনি সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান। বর্ষীয়ান সাহিত্যিকের প্রয়াণে শোকের ছায়া লেখক থেকে  পাঠক সব মহলেই।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ষীয়ান সাহিত্যিকের প্রয়াণে এক শোকবার্তায় বলেছেন, 'বাংলা সাহিত্যে একজন ছকভাঙা আধুনিক ঔপন্যাসিক হিসাবে পরিচিত দেবেশ রায় 'তিস্তাপারের বৃত্তান্ত' উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত হন। তাঁর  রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস যযাতি, বরিশালের যোগেন মণ্ডল,  মানুষ খুন করে কেন, সময় অসময়ের বৃত্তান্ত, লগন গান্ধার ইত্যাদি। 'বরিশালের যোগেন মন্ডল' উপন্যাসে  তিনি দলিত নেতা যোগেন্দ্রনাথের জীবন মহাকাব্যিক চেহারায় তুলে ধরেছিলেন। পাশাপাশি দেবেশ রায় দীর্ঘদিন 'পরিচয়' পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে সাহিত্য জগতে বিপুল শূন্যতার সৃষ্টি হল। আমি দেবেশ রায়ের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি'।