Jagadhatri puja
শতবর্ষ প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজো, নতুন আঙ্গিকে শোভাযাত্রা ও উদ্বোধন
Sangbad Prabhati, 28 October 2025
অতনু হাজরা, জামালপুর : শতবর্ষ প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজো নতুন করে করছে পারাতল যুব গোষ্ঠী। পাড়াতল যুব গোষ্ঠীর এই পূজা ৬ বছরে পরলো। কিন্তু এই পুজো প্রথম চালু করেন স্বর্ণলতা সরকার ও তাঁর পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এই পুজো করে আসছিলেন। স্বর্ণলতা দেবীর তিন কন্যা কোনো পুত্র সন্তান ছিল না। তিনি তাঁর জীবদ্দশাতেই তাঁর বাড়ি ও জগদ্ধাত্রী মায়ের মন্দির পারাতল যুব গোষ্ঠীকে দান করে যান। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর মেয়েরা ঘটে করছিলেন মায়ের পুজো। কিন্তু এক বছর কোনো সমস্যা হওয়ায় এই যুব গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রথম ঘটে মায়ের পুজো শুরু করেন। তারপর থেকেই যুব গোষ্ঠীর উদ্যোগেই পারাতল গ্রামে পুনরায় নতুন করে শুরু হয় এই পুজো। মহা ধুমধাম করেই করা হয় এই পুজো।
পাড়াতল স্কুল এলাকা থেকে শোভাযাত্রা করে মাকে মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। রাস্তার মাঝে মাঝে দাঁড় করিয়ে করা হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এই পুজো উদ্বোধনে সেখানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত হন তৃণমূল কংগ্রেসের জামালপুর ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহেমুদ খাঁন ও জামালপুরের বিধায়ক অলক কুমার মাঝি। ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ শিপ্রা ওঝা।
মেহেমুদ খাঁন বলেন, শতাব্দী প্রাচীন এই পুজো উদ্বোধন করতে এসে তাঁর খুবই ভালো লাগছে। তিনি প্রতিবছরই আসেন এই পুজো উদ্বোধন করতে। খুব সুন্দর পরিবেশে এখানে পুজো হয়। তিনি আরও জানান গত কালও তিনি শুঁড়ে কালনায় সংঘশ্রী ক্লাবের পুজো উদ্বোধন করেছেন।
তাঁকে এই পুজো উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তিনি যুব গোষ্ঠীকে ধন্যবাদ জানান। বিধায়ক বলেন বাঙালি উৎসব প্রিয় জাতি। দুর্গা পূজা, কালী পুজোর পর এসেছে জগদ্ধাত্রী পুজো। তিনি এই প্রথমবার এলেন এই যুব গোষ্ঠীর পুজো উদ্বোধন করতে। এত সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য তিনি যুব গোষ্ঠীকে ধন্যবাদ জানান। যুব গোষ্ঠীর সভাপতি জয়ন্ত সরকার ও সম্পাদক জগন্নাথ মজুমদার বলেন দশমী পর্যন্ত চলবে পুজো। এর মাঝেই রাতের দিকে থাকবে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দশমীর দিন মায়ের ভোগ খাওয়ানো হবে। আবহাওয়া সামান্য গন্ডগোল হলেও পুজোর আনন্দে কোন ভাটা পড়েনি। তবে দুর্গা পুজো, কালী পুজোর সাথে জগদ্ধাত্রী পুজোতেও দেখা গেলো সম্প্রীতির আবহ। এখানেই জামালপুরের একটা আলাদা ব্যাপার লক্ষ করা যায়। হিন্দু মুসলিম সকলে মিলে আনন্দের সাথে একে অপরের অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন। তাইতো মেহেমুদ খাঁন মুসলমান সম্প্রদায়ের একজন হয়েও একের পর এক পুজো উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পান।







