চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

পশ্চিমবঙ্গে ৩০ মে পর্যন্ত প্রায় লকডাউন, বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন


 

পশ্চিমবঙ্গে ৩০ মে পর্যন্ত প্রায় লকডাউন, বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : পশ্চিমবঙ্গে ১৫ দিনের জন্য প্রায় লকডাউন ঘোষণা করলো রাজ্য সরকার। ১৬ মে থেকে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত দফতরগুলি ছাড়া, সমস্ত সরকারি, বেসরকারি দফতর বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করলো নবান্ন। লোকাল ট্রেন আগেই বন্ধ হয়েছে এবার মেট্রো রেল, বাস এবং ফেরি পরিষেবাও সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ট্যাক্সি এবং অটো চলাচলও বন্ধ থাকবে। সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগের মতোই বন্ধ থাকবে। রাজ্য সরকার যে ঘোষণা করেছে, সেই অনুযায়ী, স্বাস্থ্য, আদালত, বিদ্যুৎ, রান্নার গ্যাস, পানীয় জল, সংবাদমাধ্যম, সাফাই, কারাগার, পেট্রোল পাম্প, গাড়ির যন্ত্রাংশের মতো জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী দপ্তর চালু থাকবে। এ ছাড়া বাকি সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি দপ্তর বন্ধ থাকবে। শপিং মল, স্পা, সিনেমা হল, শরীরচর্চা কেন্দ্র, সুইমিং পুলও বন্ধ থাকবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মিষ্টি ও মাংসের দোকান। গয়না ও শাড়ির দোকান খোলা থাকবে দুপুর ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত। তবে বন্ধ থাকবে মদের দোকান। 

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, মৃতদেহ সৎকারে ২০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। বিয়ে বাড়িতেও ৫০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত। খোলা থাকবে ব্যাঙ্কের এটিএম। বাজার এবং মুদিখানা দোকান খোলা থাকবে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত। হোটেল, রেস্তোরাঁ আগের মতোই বন্ধ থাকবে। তবে খাবার, ওষুধ এবং স্বাস্থ্য সরঞ্জামের মতো পণ্য বাড়িতে সরবরাহ করা যাবে। সমস্ত ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধ থাকবে। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে খুলে রাখা যাবে চা বাগান। বন্ধ থাকবে শিল্প-কারখানা। ৩০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চালু থাকবে চটকল। চালু থাকবে ই-কমার্স এবং রান্নার গ্যাস সরবরাহ কেন্দ্র। 

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ৯টা থেকে পর দিন ভোর ৫টা পর্যন্ত বাইরে বেরোনো নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার। ব্যক্তিগত গাড়িও চলবে না। তবে দিনের বেলায় মানুষজন নিজের গাড়ি নিয়ে টিকা নিতে যেতে পারবেন ।

নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই ঘোষণা করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ীই সকলকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। তানাহলে মহামারি আইনে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।